কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বাধা, নেতাকমীর্দের লাঞ্ছিত ও ফুলের তোড়া ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে যুবদল, স্বেচ্চাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতাকমীর্রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা বাজার এলাকায়।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন দাঁতভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিতে উপস্থিত হন উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, জিয়া সাইবার ফোর্স ও বিএনপি’র সমর্থনরা। বিএনপি’র মূলদলের তোড়া দেয়া হলে যুবদল, সেচ্ছাসেবক ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতাকমীর্রা তোড়া দিতে যান।
এ সময় ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সফিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ফরিজ উদ্দিন তার লোকজন যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের কমিটির নেতাকমীর্দের তোড়া দিতে বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে ছিঁড়ে ফেলা হয় ফুলের তোড়া। পরে তৃতীয় পক্ষের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. ফরিজ উদ্দিন অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, তারা মূলত দলের এবং আমাদের সুনাম নষ্ট করার জন্য এ ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি মো. সফিয়ার রহমান বলেন, আমার পুপলারটি নষ্ট করার জন্য আওয়ামীগের প্রেতাত্মারা এ সমস্ত গ্রুপ অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন। বরং আমি আমার দলের লোকজনের ফুল দিতে সহায়তা করেছি। বিশৃঙ্খলা তৈরির লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্রনোদিভাবে ফুল দেয়ার নাটক করেছে তারা।
রৌমারী উপজেলা জিয়া সাইবার ফোর্স কমিটির সভাপতি ইয়াসির আরাফাত নাহিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শহীদ বেদীতে ফুল দেয়ার সময় তোড়া ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি দুঃখজনক। সেটা যেই করুক আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দু’এক দিনের মধ্যে দলীয় ফোরামে এর বিচার চাওয়া হবে।
রৌমারী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, কি কারণে লাঞ্ছিত এবং তোড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।