আজ শনিবার (১ ডিসেম্বর) বীরপ্রতীক তারামন বিবির ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা সদরের কাচারীপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন তিনি। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কাচারীপাড়া এলাকার বাড়িতে কোরানখানি এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারামন বিবির একমাত্র ছেলে তাহের আলী।
বীর প্রতীক তারামন বিবি ছিলেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সোবহানের সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয়। তিনি লেখাপড়ার কোন সুযোগ পাননি। অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। এ অবস্থায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজীবপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্না করতেন ১৪ বছর বয়সী তারামন। রান্না করতে করতে অস্ত্র চালাতে শেখেন। তারপর রান্নার খুন্তি ফেলে রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন সম্মুখ সমরে।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হলেও সে কথা তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর জানতে পারেননি।
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিমল কান্তি দে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী এবং রাজীবপুর কলেজের সহকারি সাবেক অধ্যাপক আব্দুস সবুর ফারুকীর সহযোগিতায় তাকে খুঁজে বের করেন। এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বীরপ্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে মাত্র দু’জন নারী রয়েছেন। ওই দুইজনের একজন হচ্ছেন তারামন বিবি।
তারমন বিবির স্বামী আব্দুল মজিদ ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।