কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আরিফুল ইসলাম মুন্না ওরফে আকিদুল ইসলাম (২২) নামের এক চালককে হত্যা করে অটোভ্যান ছিনিয়ে নিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনার ২৯ দিনেও আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে মানববন্ধন করেছে রাজীবপুর উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাজীবপুর উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আহবায়ক আবু সাঈদ, সদস্য সচিব সুমন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক শিপন মাহমুদ, সদস্য ও রাজীবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহিজল ইসলাম সজল, ম ন ফ বিদ্যুৎ সরকার ও নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম।
বক্তরা বলেন, ঘটনার ২৯ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কেন আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ? আাগামী ১৫ দিনের মধ্যে আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে তীব্র আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন ওই বক্তারা। তাঁরা আরও বলেন, বর্তমানে রৌমারী ও রাজীবপুরে আইন শৃঙ্খলার পরিস্তিতি ব্যাপকভাবে অবনতি হয়েছে। এ কারণে মাঝে-মধ্যেই চুরি, অটো ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
নিহতের মা বানু বেগম বলেন, ঘটনার গত একমাসেও আমার ছেলে হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি নেই। খুব দ্রুত আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারসহ হত্যার বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, মামলা বিষয়ে তেমন কোনো ভূমিকা নেই পুলিশের।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, মামলা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্রুত আসামী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আশাবাদী বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর (রোববার) বিকেল ৩টার দিকে অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন চালক আরিফুল ইসলাম মুন্না ওরফে আকিদুল ইসলাম (২২)। ওইদিন রাতেই ফেরার কথা থাকলেও বাড়িতে ফেরেননি তিনি। এ নিয়ে অনেক খোঁজাখুিঁজ করেন স্বজনরা। একপর্যায়ে ২৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকালে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোল্লাপাড়া সীমান্ত এলাকার জিঞ্জিরাম নদীতে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে পুলিশ। নিহত চালক আরিফুল ইসলাম মুন্না রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইডাঙ্গী এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে।