নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে একটি নৌকায় থাকা শিশুসহ ৩৭ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা ওই নৌকায় ১৯ শিশু, ১১ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ ছিলেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নাফ নদীর টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী সীমান্ত পয়েন্ট থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, “রবিবার রাতে নাফ নদীর কেরুনতলি পয়েন্টে একটি নৌকায় কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেখেন বিজিবি সদস্যরা। এরপর নৌকাটিকে বাধা দেওয়া হয়। বাধার মুখে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফেরত যেতে বাধ্য হন। এতে রোহিঙ্গাদের নৌকাটি শূন্যরেখা পেরিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, “রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) তুমুল লড়াই চলছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোনো কোনো এলাকার বসতঘর। তাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নাফ নদীর তীরে এসে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের দালালেরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানোর আশ্বাস দেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের দালাল দলের সহায়তায় টেকনাফে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন তারা। তবে সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের আটক করে নাফ নদী দিয়ে আবার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।