কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি মাহমুদুল হাসান (মেহেদী) এর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) ঢুষমারা থানায় মাহমুদুল হাসানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন। অভিযুক্তরা হলেন, দিয়ারার চর পাটাধোওয়া পাড়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর এর ছেলে মাহমুদুল হাসান (মেহেদী), নয়ার চর ভোটাং পাড়া এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে মো. জাকির হোসেন, খালেক ব্যাপারীর ছেলে মো. রিপন মিয়া ও আজহার আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেক। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ২০২১ সালে ৪ হাজার ৮শত কোটি টাকা ব্যয় ধরে রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী হতে ফুলুয়ার চর ঘাট ও রাজীবপুর উপজেলা সদর (মেম্বার পাড়া) হতে মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন হতে বাম তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মোহনগঞ্জের সব পয়েন্টের কাজ শেষ হলেও স্ট্যান্ডার্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের দুটি পয়েন্টের মাত্র পাঁচ শতাংশ কাজ এখনও বাকী রয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের সাব ঠিকাদার মোশাররফ হোসেন জানান, আমাদের দুই পয়েন্টের মাত্র দুই শতাংশ কাজ বাকী আছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় শ্রমিকরা কাজ করতেছিল। এমন সময় মাহমুদুল হাসান কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। এবং চাঁদা দাবি করেন। আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হলে আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। এর আগেও তার (মাহমুদুল হাসান) সাথে কথা বলে সমঝোতা করা হয়েছে। কিন্তু এতেও সে সন্তুষ্ট হয়নি। এ নিয়ে আমি বাদী হয়ে গতকালই ঢুষমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এসব বিষয়ে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা, বানোয়াট। আমি কারও কাছে চাঁদা দাবি করিনি। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে আমরা কেউ জড়িত নই।
এবিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান বলেন, ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে এবং এর সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত ঢুষমারা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোশাহেদ খান বলেন, হ্যা এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান আছে।