কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে হাট-ঘাটের খাঁজনা বাতিল, স্বাধীন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, ব্রহ্মপুত্রের তীর সংরক্ষণ ও বর্ডার হাট খোলার দাবিতে আগামী ৩০ নভেম্বর থানা মোড়ে “রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন” নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে কৃষক সমাবেশ ডেকেছে স্থানীয় সদস্যরা।
৩০ নভেম্বরের ওই কৃষক সমাবেশ বন্ধের দাবিতে আজ বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজীবপুর উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান সাক্ষরিত রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় একটি লিখিত আবেদন করে। আবেদন সূত্রে জানা গেছে, কৃষক সমাবেশের নামে যে সমাবেশ ডাকা হয়েছে সেখানে কৃষকের কোনো দাবি উল্লেখ নেই। এতে করে কৃষকদের সাথে এক প্রকার প্রতারণা করা হচ্ছে। ওই আবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, যারা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে কৃষক সমাবেশ ডেকেছে তাদের অধিকাংশই স্বৈরাচারী হাসিনার আওয়ামিলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী।
এবিষয়ে রাজীবপুর উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, কৃষকদের নামে যে সমাবেশ তারা ডেকেছে সেখানে কৃষকের কোনো দাবির কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাদের পোস্টার ও ব্যানারে কৃষকের একটি দাবির কথাও বলা হয়নি। শুধু তাই নয় যারা এই সমাবেশের আয়োজন করেছে তাদের অধিকাংশই স্বেরাচারী হাসিনার আওয়ামিলীগ ও এর নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী। যেকারণে এতোশত প্রাণ গেলো সেই স্বেরাচারের দোসররা যদি অন্য নাম ব্যবহার করে রাজনীতিতে ফিরতে আসে আমরা তো তা হতে দিতে পারি না। আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছি, যাতে করে এমন কোনো সমাবেশ রাজীবপুরে কেউ করতে না পারে।
আবেদন পেয়েছেন কিনা এবং এবিষয়ে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিবে জানতে চাইলে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ জানান, সমাবেশ বন্ধের বিষয়ে ছাত্র সমন্বয়কদের-সহ কয়েকটি আবেদন পেয়েছি। তারা যদি সমাবেশ বন্ধ না করে তাহলে ডিসি ও এসপি স্যারের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।